
চট্টগ্রাম ‘ধর্মপ্রদেশ’কে ‘মহাধর্মপ্রদেশে’ উন্নীত করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় এই ‘মহাধর্মপ্রদেশ’র মেট্রোপলিটন আর্চবিশপ হিসেবে বিশপ মজেস কস্তাকে নিয়োগ দিয়েছেন সারাবিশ্বের ক্যাথলিকদের প্রধান ধর্মগুরু।
বাংলাদেশে আটটি ‘ধর্মপ্রদেশের’ (ডাইয়োসিস) মধ্যে এতদিন ঢাকা ছিল একমাত্র ‘মহাধর্মপ্রদেশ’ (মেট্রোপলিটন আর্চডাইয়োসিস)।
বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় জপমালা রানি ক্যাথিড্রাল চার্চে এক অনুষ্ঠানে পোপ ফ্রান্সিসের এ সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশে পোপ’র প্রতিনিধি এবং ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরী।
ওই ঘোষণায় পোপ ‘চট্টগ্রাম ডাইয়োসিস’ (চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশ) কে ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চডাইয়োসিস’ (চট্টগ্রাম মহাধর্মপ্রদেশ) এ উন্নীত করেন।
জপমালা রানি ক্যাথিড্রাল চার্চে ধর্মীয় উপাসনা ‘খ্রিস্টযাগের’ মাধ্যমে পোপ ফ্রান্সিসের ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। খ্রিস্টযাগ শেষে উপস্থিত ফাদার, ব্রাদার, সিস্টার খ্রিস্টভক্তরা নবনিযুক্ত মেট্রোপলিটন অর্চবিশপ মজেস কস্তা (সিএসসি) এবং ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরীকে শুভেচ্ছা জানান। চট্টগ্রাম মহাধর্মপ্রদেশের পালকীয় সমন্বয়কারী মানিক উইলভার ডি কস্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। ১৫৩৭ সালে পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের আগমনে চট্টগ্রামে প্রথম খ্রিস্টান বসতি গড়ে ওঠে। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে নগরীর পাথরঘাটা এবং আনোয়ারার দিয়াং-এ প্রথম গির্জা স্থাপিত হয়। ১৮৪৫ সালে চট্টগ্রাম পূর্ব বঙ্গের ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান কেন্দ্র (ভিকার এপোস্টলিক) এর মর্যাদা লাভ করে। পরবর্তীতে ‘ভিকার এপোস্টলিক’ ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯২৭ সালে চট্টগ্রামকে ‘ডাইয়োসিস’ (ধর্মপ্রদেশ) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশ চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলাজুড়ে বিস্তৃত। এসব জেলায় মোট চার্চ (প্যারিশ) আছে ১১টি এবং সাব-প্যারিশ আছে পাঁচটি। চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশের ধর্মযাজক ‘বিশপ’ হিসেবে চট্টগ্রাম শহরের পাথরঘাটার বিশপ ভবনে থাকেন। এতদিন মজেস কস্তা বিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।
Source:
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1137123509744047&set=a.201460546643686.40319.100003392264758&type=3&theater
জপমালা রানি ক্যাথিড্রাল চার্চে ধর্মীয় উপাসনা ‘খ্রিস্টযাগের’ মাধ্যমে পোপ ফ্রান্সিসের ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। খ্রিস্টযাগ শেষে উপস্থিত ফাদার, ব্রাদার, সিস্টার খ্রিস্টভক্তরা নবনিযুক্ত মেট্রোপলিটন অর্চবিশপ মজেস কস্তা (সিএসসি) এবং ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরীকে শুভেচ্ছা জানান। চট্টগ্রাম মহাধর্মপ্রদেশের পালকীয় সমন্বয়কারী মানিক উইলভার ডি কস্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। ১৫৩৭ সালে পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের আগমনে চট্টগ্রামে প্রথম খ্রিস্টান বসতি গড়ে ওঠে। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে নগরীর পাথরঘাটা এবং আনোয়ারার দিয়াং-এ প্রথম গির্জা স্থাপিত হয়। ১৮৪৫ সালে চট্টগ্রাম পূর্ব বঙ্গের ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান কেন্দ্র (ভিকার এপোস্টলিক) এর মর্যাদা লাভ করে। পরবর্তীতে ‘ভিকার এপোস্টলিক’ ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯২৭ সালে চট্টগ্রামকে ‘ডাইয়োসিস’ (ধর্মপ্রদেশ) হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশ চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলাজুড়ে বিস্তৃত। এসব জেলায় মোট চার্চ (প্যারিশ) আছে ১১টি এবং সাব-প্যারিশ আছে পাঁচটি। চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশের ধর্মযাজক ‘বিশপ’ হিসেবে চট্টগ্রাম শহরের পাথরঘাটার বিশপ ভবনে থাকেন। এতদিন মজেস কস্তা বিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।
Source:
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1137123509744047&set=a.201460546643686.40319.100003392264758&type=3&theater
No comments:
Post a Comment